· পেইড ফেসবুক মার্কেটিং কি ?
আমরা
কোন একটা প্রডাক্ট বা সার্ভিসকে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য ফেসবুককে টাকা দিয়ে বা
কোন টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌছানের জন্য ফেসবুককে ডলার দিয়ে আমরা যখন ঐ
প্রডাক্ট সার্ভিস বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রসার করি বা প্রমোশন করি তাকে ফেসবুক
পেইড মার্কেটিং বলে।
ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং করার জন্য আমাদের মূলত ৩ টা
জিনিস লাগবে।
১।
ফেসবুক পর্সোনাল একাউন্ট।
·
যেই ফেসবুক আইডির নাম এবং জন্ম তারিখ জাতীয়
পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্টের সাথে মিল রয়েছে সেই আইডি দিয়েই কেবলমাত্র ফেসবুকে
পেইড মার্কেটিং করা যাবে।
·
যেই ফেসবুক আইডি দিয়ে পেইড মার্কেটিং করব সেই
আইডির বয়স মিনিমাম ৬০ দিন হতে হবে।
·
যেই ফেসবুক আইডি দিয়ে পেইড মার্কেটিং করব সেই
আইডি যেন ব্যবহার কৃত আইডি হয়(মন মাঝে মাঝে যেন এই আইডি থেকে পোস্ট করা হয়)।
২। ফেসবুক পেইড
মার্কেটিং করার জন্য একটা ফেসবুক পেইজ লাগবে।
·
যদি নিজস্ব কোন কাজের জন্য ব্যবহার করি তাহলে নিজের পেইজ থেকে করতে
হবে। আর যদি বায়ার এর কোন কাজ করি তাহলে বায়ার তার পেইজের ইডিটর এক্সেস আমাদের কে
দিবে।
৩। পেইড মার্কেটিং
করার জন্য একটা ডুয়েল কারেন্সি মাস্টারকার্ড লাগবে।
কিভাবে বাংলাদেশ থেকে একটা মাস্টারকার্ড পাওয়া যাবে।
একটি মাস্টারকার্ড
পাওয়ার জন্য যেকোন ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
একাউন্ট খোলার
জন্য জাতীয়পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। উল্লেখিত জিনিস গুলো থাকলেই
বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক থেকে আপনি চাইলেই একটা একাউন্ট খোলার মাধ্যমে একটা মাস্টারকার্ড
পেতে পারেন।
কিন্তু ডুয়েলকারেন্সি
মাস্টারকার্ড পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক।
পাইওনির থেকে কিভাবে একটা মাস্টারকার্ড পাওয়া যাবে।
পাইওনির হচ্ছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংক।পাইওনির থেকে মাস্টারকার্ড পাওয়ার আগে আপনাকে জানতে
হবে কিভাবে একটা পাইওনির একাউন্ট খুলতে হয়। এই একাউন্ট খুলতে হলে লাগবে একটি জাতীয়
পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্ট এবং বাংলাদেশ এর যেকোন একটি ব্যাংক একাউন্ট।
পাইওনির একাউন্ট খুললেই কিন্তু একটি মাস্টারকার্ড পাওয়া যাবেনা। বাংলাদেশ থেকে পাইওনির
এর মাস্টারকার্ড পেতে হলে অনলাইন মার্কেটপ্লেস (ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রীল্যান্সার ইত্যাদি)
থেকে মিনিমাম ১০০ ডলার পরিমান টাকা ইনকাম করে ঐ পাইওনির একাউন্টে উইথড্র দেয়ার পরই
কেবল পাইওনির এর মাস্টারকার্ড এর জন্য আপিল করা যাবে। এবং আপিল করার পর ৩০ কর্ম দিবসের
মধ্যে পোস্ট অফিসের ঠিকানায় ( যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমি মাস্টারকার্ড নিতে চাই)
পৌছে যাবে। সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।